প্রকাশ : ০৯ সেপ্টেম্বর ২০২১, ০১:১৮
সার্বিয়ার দুই মন্ত্রীর সাথে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
সার্বিয়ার বাণিজ্য,পর্যটন ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মিজ তাতিয়ানা মাতিচ ও সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী মিজ মাজা গোকোভিচের সাথে বেলগ্রেডের অফিসে এবং বানিজ্য মন্ত্রীর কার্যলয়ে ৬ সেপ্টেম্বর সোমবার সাক্ষাত করেন সার্বিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশের অনিবাসি রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান। সাক্ষাতকালে দুই মন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে সাদরে আমন্ত্রণ জানান এবং রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশ করায় অভিনন্দন জানান।
|আরো খবর
রাষ্ট্রদূত,শামীম আহসান বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর পক্ষ থেকে সার্বিয়ার মন্ত্রীকে শুভেচ্ছা জানান। এসময় রাষ্ট্রদূত,বলেন দু’দেশের মধ্যে ঐতিহাসিক ও সৌহার্দ্যপূর্ণ ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গতিশীল নেতৃত্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অসাধারণ সাফল্যের কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, দু’দেশের মধ্যে সমৃদ্ধ সংস্কৃতির ক্ষেত্রে বিনিময়ের যে সম্ভাবনা রয়েছে তা দু’দেশের মানুষকে আরো কাছাকাছি নিয়ে আসবে। তিনি আরও বলেন,এক্ষেত্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হলে পারস্পরিক সহযোগিতার পথ সুগম হবে এবং জনগণের সাথে জনগণের যোগাযোগের ক্ষেত্র আরো প্রসারিত হবে। সার্বিয়ার সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রীর ঢাকা এবং বেলগ্রেডের মধ্যেকার ঐতিহাসিক বন্ধনের কথা উল্লেখ করে দু’দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারে বলে মত দেন। এসময় মন্ত্রী মিজ মাজাসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে ০৬ সেপ্টেম্বর ২০২১ রাষ্ট্রদূত মোঃ শামীম আহসান সার্বিয়ার বাণিজ্য,পর্যটন ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মিজ তাতিয়ানা মাতিচের সাথে তার কার্যালয়ে সাক্ষাতকালে
(রাষ্ট্রদূত,জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং সাবেক যুগোস্লাভিয়ার রাষ্ট্রপতি জোসেপ ব্রোজ টিটো (Mr. Josip Broz Tito)-এর ব্যক্তিগত বন্ধুত্বের কথা উল্লেখ করে দু’দেশের মধ্যে ক্রমবর্ধমান বাণিজ্যিক সম্পর্কের কথা তুলে ধরে রাষ্ট্রদূত বলেন,পারস্পরিক বাণিজ্যিক সম্পর্ক বৃদ্ধির অনেক সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি বিদেশী বিনিয়োগকারীদের জন্য বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন প্রণোদনার কথাও উল্লেখ করেন। রাষ্ট্রদূত আহসান দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধির ক্ষেত্রে ‘দ্বৈত কর পরিহার-(Avoidance of Double Taxation)’ এবং দু’দেশের চেম্বার/বণিক সমিতির মধ্যে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করা যেতে পারে বলে প্রস্তাব করেন। সার্বিয়ার বাণিজ্যমন্ত্রী অত্যন্ত আন্তরিকভাবে প্রস্তাবটি গ্রহণ করেন এবং তার সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ সহযোগিতার আশ্বাস দেন। তিনি বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ খাতে সার্বিয়ান বিনিয়োগের বিষয়ে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করেন। এসময় মন্ত্রীর সাথে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বৈঠকে বাংলাদেশ দূতাবাসের কাউন্সেলর এএসএম সায়েম উপস্থিত ছিলেন।